সংক্ষিপ্ত
প্রশ্নোত্তর
প্রিয় পরীক্ষার্থী, ইসলাম ও নৈতিক শিক্ষা বিষয়ের ২ নম্বর প্রশ্ন থাকবে সংক্ষিপ্ত প্রশ্নোত্তর।
প্রিয় পরীক্ষার্থী, ইসলাম ও নৈতিক শিক্ষা বিষয়ের ২ নম্বর প্রশ্ন থাকবে সংক্ষিপ্ত প্রশ্নোত্তর।
প্রশ্ন: ইমান শব্দের অর্থ কী?
উত্তর: ইমান শব্দের অর্থ বিশ্বাস স্থাপন, স্বীকৃতি দেওয়া, মেনে নেওয়া ইত্যাদি।
প্রশ্ন: সারা বিশ্বের পালনকর্তা কে?
উত্তর: সারা বিশ্বের পালনকর্তা আল্লাহ তায়ালা। তিনি বিশ্বজগতের অধিপতি বা মালিক। তিনি একক ও অদ্বিতীয় সত্তা।
প্রশ্ন: আমাদের দীনের নাম কী?
উত্তর: আমাদের দীনের নাম ইসলাম। ইসলাম হলো পূর্ণাঙ্গ জীবনব্যবস্থা। মানবজীবনের সব বিষয় ও সমস্যার পরিপূর্ণ সমাধানের দিকনির্দেশনা এতে রয়েছে।
প্রশ্ন: আমরা কী বলে আল্লাহর শোকর আদায় করব?
উত্তর: আমরা ‘আলহামদু লিল্লাহি রাব্বিল আলামিন’ বলে আল্লাহর শোকর আদায় করব।
প্রশ্ন: আখিরাত মানে কী?
উত্তর: আখিরাত আরবি শব্দ। আখিরাত মানে পরকাল। মানুষের মৃত্যুর পরবর্তী জীবনকে আখিরাত বলা হয়।
প্রশ্ন: আকাইদ বলতে কী বোঝ?
উত্তর: ইসলামের মৌলিক বিষয়গুলো অর্থাত্ আল্লাহ তায়ালা, নবি-রাসুল, ফেরেশতা, আসমানি কিতাব, পরকাল, জান্নাত-জাহান্নাম ইত্যাদির প্রতি দৃঢ় বিশ্বাসকেই আকাইদ বলা হয়।
প্রশ্ন: নবি-রাসুলগণের জীবনের অন্যতম লক্ষ্য কী ছিল?
উত্তর: মানুষের জীবন মঙ্গলময় করা ও মানুষের কল্যাণ সাধন করা ছিল নবি-রাসুলগণের জীবনের অন্যতম লক্ষ্য।
প্রশ্ন: শ্বাস নেওয়ার সময় আমরা কোনটি গ্রহণ করি?
উত্তর: শ্বাস নেওয়ার সময় আমরা অক্সিজেন গ্রহণ করি।
প্রশ্ন: কে নবি-রাসুলগণের কাছে ওহি নিয়ে আসতেন?
উত্তর: হযরত জিবরাইল (আ.) নবি-রাসুলগণের কাছে ওহি নিয়ে আসতেন।
প্রশ্ন: ইবাদত কাকে বলে?
উত্তর: ইবাদত আরবি শব্দ। এর অর্থ হলো আনুগত্য, দাসত্ব, বন্দেগি ইত্যাদি। ইসলামি পরিভাষায় দৈনন্দিন জীবনের সব কাজ-কর্মে আল্লাহ তায়ালার বিধি-বিধান মেনে চলাকে ইবাদত বলা হয়।
প্রশ্ন: আল্লাহ আমাদের কেন সৃষ্টি করেছেন?
উত্তর: আমরা আল্লাহর বান্দা। তাঁর ওপর বিশ্বাস স্থাপন করা আমাদের অবশ্যকর্তব্য। আল্লাহ তায়ালা আমাদের সৃষ্টির উদ্দেশ্য সম্পর্কে পবিত্র আল-কুরআনে বলেছেন, ‘জিন ও মানব জাতিকে আমি (আল্লাহ) আমার ইবাদতের জন্যই সৃষ্টি করেছি।’
প্রশ্ন: ইসলামের রুকন কয়টি ও কী কী?
উত্তর: ইসলাম আল্লাহ তায়ালা মনোনীত একমাত্র জীবনব্যবস্থা। ইসলামের রুকন পাঁচটি। যথা: ১. ইমান আনা, ২. সালাত আদায় করা, ৩. যাকাত প্রদান করা, ৪. হজ পালন করা ও ৫. রমজানের সাওম পালন করা।
প্রশ্ন: পাঁচ ওয়াক্ত সালাতের নাম লেখো।
উত্তর: সালাত একটি মৌলিক ও ফরজ ইবাদত। এটি ইসলামের দ্বিতীয় রুকন। দৈনিক পাঁচ ওয়াক্ত সালাত আদায় করা ফরজ। পাঁচ ওয়াক্ত সালাতের নাম হলো ১. ফজর, ২. জোহর, ৩. আসর, ৪. মাগরিব ও ৫. এশা।
প্রশ্ন: সালাতের নিষিদ্ধ সময়গুলো কী কী?
উত্তর: দিনের সব সময় সালাত আদায় করা যায় না। সালাত আদায়ে কতিপয় নিষিদ্ধ সময় রয়েছে। সালাতের নিষিদ্ধ সময় হলো: ১. ঠিক সূর্যোদয়ের সময়, ২. ঠিক দ্বিপ্রহরের সময় ও ৩. সূর্যাস্তের সময়।
প্রশ্ন: মুসাফির কাকে বলে?
উত্তর: মুসাফির আরবি শব্দ। এর অর্থ সফরকারী বা ভ্রমণকারী। কোনো ব্যক্তি তিন দিনের রাস্তা বা কমপক্ষে ৪৮ মাইল দূরে গমনের নিয়ত করে বাড়ি থেকে বের হলে তাকে মুসাফির বলে।
প্রশ্ন: আহকাম কাকে বলে?
উত্তর: সালাতের প্রস্তুতিমূলক কিছু কাজ রয়েছে। সালাতের এসব কাজ বা সালাত শুরু করার আগে যে ফরজ কাজগুলো আছে, সেগুলোকে সালাতের আহকাম বা শর্ত বলে।
প্রশ্ন: আরকান কাকে বলে?
উত্তর: সালাত আদায়কালে আমরা কিছু ফরজ পালন করি। সালাতের ভেতরে যে ফরজ কাজগুলো আছে সেগুলোকে সালাতের আরকান বলে।
প্রশ্ন: সাওম কাকে বলে?
উত্তর: সাওম আরবি শব্দ। এর অর্থ বিরত থাকা বা আত্মসংযম। আল্লাহ তায়ালার সন্তুষ্টি লাভের উদ্দেশ্যে সুবহে সাদিক থেকে শুরু করে সূর্যাস্ত পর্যন্ত পানাহার ইত্যাদি থেকে বিরত থাকাকে সাওম বলে।
প্রশ্ন: সাওমের মাসকে ফজিলতের দিক দিয়ে কয় ভাগে বিভক্ত করা হয়েছে?
উত্তর: সাওমের মাসকে ফজিলতের দিক দিয়ে তিন ভাগে ভাগ করা হয়েছে। ১. এ মাসের প্রথম দশ দিন রহমত লাভের সময়. ২. দ্বিতীয় দশ দিন মাগফিরাত লাভের সময় এবং ৩. শেষ অংশে নাজাত বা মুক্তিলাভের সময়। যারা যথানিয়মে সাওম পালন করবে তারা এ ফজিলত লাভ করবে।
প্রশ্ন: যাকাত কাকে বলে?
উত্তর: যাকাত শব্দের অর্থ পরিচ্ছন্নতা, পবিত্রতা ও শুদ্ধ। মুসলমানদের নিসাব পরিমাণ ধনসম্পদের একটি নির্দিষ্ট অংশ বছরপূর্তিতে আল্লাহ তায়ালার নির্ধারিত খাতসমূহে ব্যয় করাকে যাকাত বলে।
প্রশ্ন: হজ কাকে বলে?
উত্তর: আল্লাহ তায়ালার নৈকট্য ও সন্তুষ্টি লাভের উদ্দেশ্যে নির্দিষ্ট সময়ে বিশেষ অবস্থায়, নির্দিষ্ট স্থানে, নির্ধারিত নিয়মে, নির্দিষ্ট কতগুলো অনুষ্ঠান পালন করাকে হজ বলে।
প্রশ্ন: হজের ফরজ কয়টি ও কী কী?
উত্তর: হজ একটি মৌলিক ফরজ ইবাদত। হজের ফরজ তিনটি। যথা: ১. ইহরাম বাঁধা, ২. আরাফাতে অবস্থান করা এবং ৩. তওয়াফে জিয়ারত।
প্রশ্ন: কুরবানি কাকে বলে?
উত্তর: আল্লাহ তায়ালার সন্তুষ্টি লাভের উদ্দেশ্যে ত্যাগের মনোভাব নিয়ে ১০ থেকে ১২ জিলহজ পর্যন্ত সময়ের মধ্যে গৃহপালিত হালাল পশু আল্লাহর নামে উত্সর্গ করাকে কুরবানি বলে।
প্রশ্ন: আকিকা কাকে বলে?
উত্তর: আকিকা শব্দের অর্থ ভাঙা বা কেটে ফেলা। সন্তান জন্মের সপ্তম দিনে সন্তানের কল্যাণ ও হিফাজতের কামনায় আল্লাহর ওয়াস্তে কুরবানির মতো কোনো গৃহপালিত হালাল পশু জবাই করাকে আকিকা বলে।
প্রশ্ন: যাকাত প্রদানের মূল উদ্দেশ্য কোনটি?
উত্তর: যাকাত প্রদানের মূল উদ্দেশ্য হলো গরিবদের অবস্থার পরিবর্তন করা।
প্রশ্ন: আমরা সৃষ্টির সেবা করব কেন?
উত্তর: মানুষ ব্যতীত আল্লাহ সবই মানুষের উপকার ও কল্যাণের জন্য সৃষ্টি করেছেন। এগুলোর সেবা, বিনা প্রয়োজনে নষ্ট না করা, কেউ ক্ষুধার্ত হলে তাকে খাদ্য দিতে হবে। তাহলে আল্লাহপাক আমাদের প্রতি সন্তুষ্ট হবেন।
প্রশ্ন: মহানবি (সা.) সুন্দর চরিত্র সম্পর্কে কী বলেছেন?
উত্তর: মহানবি (সা) সুন্দর চরিত্র সম্পর্কে বলেছেন, ‘তোমাদের মধ্যে সর্বোত্তম সেই লোক, যার চরিত্র সবচেয়ে সুন্দর।’
প্রশ্ন: ‘সৃষ্টির সেবা’ কাকে বলে?
উত্তর: আল্লাহ তায়ালা সৃষ্টি করেছেন মানুষ, জীবজন্তু, পশুপাখি, চাঁদ-সূর্য, নদীনালা, পাহাড়-পর্বত, গাছপালা ইত্যাদি। মানুষ আল্লাহর এসব সৃষ্টির প্রতি দয়া দেখাবে, সহানুভূতি প্রদর্শন করবে। এরই নাম সৃষ্টির সেবা।
প্রশ্ন: মহানবি (সা.) মক্কাবাসীকে কিসের আহ্বান জানিয়েছিলেন?
উত্তর: মহানবি (সা.) মক্কাবাসীকে সত্য ও ন্যায়পথে চলার আহ্বান জানিয়েছিলেন।
প্রশ্ন: ক্ষমাশীল ব্যক্তি কে?
উত্তর: যার মন উদার, মানুষের জন্য যার দয়ামায়া বেশি, যে রাগ দমন করতে পারে—সেই ব্যক্তি ক্ষমাশীল হয়।
প্রশ্ন: যার মধ্যে সততা আছে তাকে কী বলে?
উত্তর: যার মধ্যে সততা আছে তাকে সত্ ব্যক্তি বলা হয়।
প্রশ্ন: আমরা পিতামাতার সঙ্গে কীরূপ ব্যবহার করব?
উত্তর: আমরা পিতামাতার সঙ্গে সদ্ব্যবহার করব। তাঁদের আদেশ-নিষেধ শুনব এবং মেনে চলব। তাঁদের সম্মান দেখাব। তাঁদের সেবা-যত্ন করব। চিকিত্সার সুব্যবস্থা করব। তাঁরা যাতে সুখে-শান্তিতে জীবন যাপন করতে পারেন, সেদিকে খেয়াল রাখব।
প্রশ্ন: আমরা পিতামাতার জন্য কী বলে দোয়া করব?
উত্তর: আমরা পিতামাতার জন্য দোয়া করব, ‘হে আমার প্রতিপালক! পিতামাতা আমাকে যেমন শৈশবে স্নেহ-যত্নে লালনপালন করেছেন, আপনি তাঁদের প্রতি ঠিক তেমনি দয়া করুন।’
প্রশ্ন: আমরা বাসার কাজের লোকদের সঙ্গে কীরূপ ব্যবহার করব?
উত্তর: আমরা বাসার কাজের লোকদের সঙ্গে ভালো ব্যবহার করব। সম্মান করব। মর্যাদা দেব, নিজেরা যা খাব তাদেরও তা-ই খেতে দেব। তাদের কাজে সাহায্য করব। তাদের কোনো কষ্ট দেব না। তাদের কাজের ও শ্রমের মর্যাদা দেব।
প্রশ্ন: মহানবি (সা.) শ্রমিকদের পারিশ্রমিক সম্পর্কে কী বলেছেন?
উত্তর: মহানবি (সা.) শ্রমিকদের পারিশ্রমিক সম্পর্কে বলেছেন, ‘শ্রমিকের ঘাম শুকানোর আগেই তার পারিশ্রমিক দিয়ে দাও।’
প্রশ্ন: মানবজাতির আদি পিতা ও আদি মাতা কে ছিলেন?
উত্তর: মানবজাতির আদি পিতা হযরত আদম (আ.) এবং আদি মাতা ছিলেন হযরত হাওয়া (আ.)।
প্রশ্ন: প্রাকৃতিক পরিবেশ কাকে বলে?
উত্তর: আমাদের চারপাশে যা কিছু আছে, যেমন: মানুষ, পশুপাখি, গাছপালা, মাটি, পানি, পাহাড়-পর্বত—এ সবকিছুই আমাদের পরিবেশ। এগুলোকে প্রাকৃতিক পরিবেশ বলা হয়।
প্রশ্ন: দেশকে ভালোবাসা বলতে কী বোঝায়?
উত্তর: দেশকে ভালোবাসা অর্থ দেশের মাটি, কৃষ্টি ও সংস্কৃতিকে ভালোবাসা। দেশের মানুষ, দেশের স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্বকে ভালোবাসা।
প্রশ্ন: কোনো অন্যায় কাজ হতে দেখলে কী করা উচিত?
উত্তর: কোনো অন্যায় কাজ হতে দেখলে আমাদের প্রতিবাদ করা উচিত।
প্রশ্ন: মাখরাজ কাকে বলে?
উত্তর: আরবি শব্দ উচ্চারণের সময় মুখের একেক জায়গা থেকে একেকটি হরফ উচ্চারিত হয়। আরবি হরফ উচ্চারণের স্থানকে মাখরাজ বলে।
প্রশ্ন: তাজবিদ কাকে বলে?
উত্তর: কুরআন মজিদ শুদ্ধভাবে তিলাওয়াতের নিয়মকে তাজবিদ বলে। অর্থাত্ কুরআন মজিদের আয়াতসমূহ এবং আয়াতের শব্দ ও বর্ণের সঠিক উচ্চারণ করার পদ্ধতিই হলো তাজবিদ।
প্রশ্ন: ওয়াকফ বলতে কী বোঝ?
উত্তর: কুরআন মজিদ শুদ্ধভাবে তিলাওয়াতের জন্য আয়াতের মধ্যে কয়েক প্রকারের বিরামচিহ্ন ব্যবহার করা হয়েছে। এ চিহ্নগুলোর দ্বারা কোথায় থামতে হবে, কোন জায়গায় কিছুটা শ্বাস নেওয়া যাবে, তা নির্দেশ করা হয়েছে। এ বিরামচিহ্নকে ওয়াকফ বলা হয়।
প্রশ্ন: মাখরাজ কয়টি?
উত্তর: আরবি হরফ উচ্চারণের স্থানকে মাখরাজ বলে। মাখরাজ ১৭টি।
প্রশ্ন: কুরআন মজিদ কার বাণী?
উত্তর: কুরআন মজিদ আল্লাহ তায়ালার বাণী।
প্রশ্ন: কুরআন মজিদ আরবি ভাষায় নাজিল হয়েছে কেন?
উত্তর: মহানবি (সা.)-এর কওমের বা জাতির ভাষা ছিল আরবি। তাই কুরআন মজিদ আরবি ভাষায় নাজিল হয়েছে।
প্রশ্ন: হিলফুল ফুজুলের উদ্দেশ্য কী ছিল?
উত্তর: হিলফুল ফুজুলের উদ্দেশ্য ছিল শান্তি-শৃঙ্খলা প্রতিষ্ঠা করা।
প্রশ্ন: পাদ্রি বহীরা হযরত মুহাম্মদ (সা.) সম্বন্ধে কী মন্তব্য করেছিলেন?
উত্তর: পাদ্রি বহীরা হযরত মুহাম্মদ (সা.)-কে অসাধারণ বালক বলে মন্তব্য করেন এবং শেষ নবি বলে ভবিষ্যদ্বাণী করেন। তিনি আবু তালিবকে মহানবি (সা.) সম্পর্কে সাবধান করেন এবং বলেন, শত্রুরা তাঁর অনিষ্ট করতে পারে।
প্রশ্ন: হযরত মুহাম্মদ (সা.)-এর গঠিত সংঘের নাম কী?
উত্তর: সিরিয়া থেকে ফিরে এসে হযরত মুহাম্মদ (সা.) ফিজার যুদ্ধের বিভীষিকা দেখলেন। তিনি এ যুদ্ধে অংশগ্রহণ করেননি। তবে যুদ্ধের ভয়াবহতা উপলব্ধি করলেন। এতে তাঁর হূদয় কেঁপে উঠল। আহত ব্যক্তিদের আর্তনাদ শুনে তিনি অস্থির হয়ে পড়লেন। শান্তিকামী মানুষ হিসেবে এ অশান্তি তাঁর সহ্য হলো না। তাই তিনি আরবের শান্তিকামী যুবকদের নিয়ে ‘হিলফুল ফুজুল’ (শান্তি সংঘ) গঠন করলেন।
প্রশ্ন: হাজরে আসওয়াদ কোথায় স্থাপন করা হয়েছিল?
উত্তর: হাজরে আসওয়াদ শব্দের অর্থ কালো পাথর। এটি কাবার একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশ। এ কালো পাথরটি (হাজরে আসওয়াদ) কাবার দেয়ালে স্থাপন করা হয়েছিল।
প্রশ্ন: আনসার কারা?
উত্তর: আনসার মানে সাহায্যকারী। হিজরতের সময় মক্কা থেকে যাঁরা মদিনায় গমন করেছিলেন, তাঁদের মদিনায় যাঁরা আশ্রয় ও সাহায্য-সহযোগিতা দিলেন, তাঁদের আনসার বলা হয়।
প্রশ্ন: মুহাজির কাদের বলে?
উত্তর: মুহাজির মানে হিজরতকারী। মক্কা থেকে হিজরত করে যাঁরা মদিনায় যান, তাঁদের বলা হয় মুহাজির।
প্রশ্ন: বদর যুদ্ধের কারণ কী?
উত্তর: মক্কার কাফির মুশরিকরা চেয়েছিল ইসলাম ও মুসলিমদের নিশ্চিহ্ন করে দিতে। মদিনায় ইসলামের উত্তরোত্তর উন্নতি দেখে তারা হিংসায় জ্বলে ওঠে। মদিনায় ইহুদিরা তাদের প্ররোচিত করছিল। আবার আবু সুফিয়ানের বাণিজ্য কাফেলা মুসলমানদের দ্বারা আক্রান্ত হওয়ার গুজব উঠেছিল। মূলত কাফেরদের সঙ্গে এসব কারণে বদর যুদ্ধ হয়েছিল।
প্রশ্ন: হুদাইবিয়ার সন্ধি কী?
উত্তর: হিজরি ৬ সালে (৬২৮ খ্রিষ্টাব্দে) রাসুল (সা.) উমরা পালনের উদ্দেশ্যে ১ হাজার ৪০০ জন সাহাবিসহ মক্কার নয় মাইল দূরে হুদাইবিয়া নামক স্থানে উপনীত হলে কুরাইশরা উমরা পালনে বাধা দেয়। এরপর একপর্যায়ে মক্কার কুরাইশদের সঙ্গে মুসলমানদের ১০ বছর মেয়াদি একটি সন্ধি হয়। এটিই হুদাইবিয়ার সন্ধি নামে খ্যাত।
প্রশ্ন: বিদায় হজ কাকে বলে?
উত্তর: মহানবি (সা.) দশম হিজরিতে হজ পালনের ইচ্ছা প্রকাশ করলেন। এটাই ছিল তাঁর জীবনের শেষ হজ। তিনি এরপর আর হজ করার সুযোগ পাননি। তাই একে বিদায় হজ বলে।
প্রশ্ন: পৃথিবীর আদি মানব কে ছিলেন?
উত্তর: আল্লাহ তায়ালা পৃথিবীতে মানব জাতি প্রেরণের সিদ্ধান্ত গ্রহণ করে প্রথম হযরত আদম (আ.)-কে সৃষ্টি করেন এবং তাঁকে একপর্যায়ে পৃথিবীতে প্রেরণ করেন। এ জন্য হযরত আদম (আ.)-কে পৃথিবীর আদি মানব বলা হয়।
প্রশ্ন: হযরত ইবরাহীম (আ.) কোথায় জন্মগ্রহণ করেন?
উত্তর: নবি হযরত ইবরাহীম (আ.) ইরাক দেশের বাবেল শহরে এক পুরোহিত পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন। হযরত ইবরাহিম (আ.)-কে মুসলিম জাতির পিতা বলে গণ্য করা হয়।
প্রশ্ন: হযরত দাউদ (আ.)-এর ওপর কোন কিতাব নাজিল হয়?
উত্তর: হযরত দাউদ (আ.) ছিলেন একজন বিখ্যাত রাসুল। তাঁর ওপর প্রসিদ্ধ আসমানি কিতাব ‘যাবুর’ নাজিল হয়।
প্রশ্ন: হযরত দাউদ (আ.)-এর বীরত্বের উদাহরণ দাও?
উত্তর: হযরত দাউদ (আ.) ছিলেন অসীম সাহসী এবং অসাধারণ বীরত্বের অধিকারী। তাঁর যুদ্ধ কৌশল ছিল অসাধারণ। তিনি সেনাপতি থাকাকালে আল্লাহদ্রোহী ও অত্যাচারী শাসক জালুতকে যুদ্ধে পরাজিত ও হত্যা করেছিলেন। বাদশাহ তালুত তাঁর বীরত্বে মুগ্ধ হয়ে স্বীয় কন্যাকে তাঁর সঙ্গে বিয়ে দিয়েছিলেন। বাদশাহর মৃত্যুর পর তিনি সিংহাসনে আরোহণ করেন।
শিক্ষক
উইলস লিটল ফ্লাওয়ার স্কুল অ্যান্ড কলেজ, ঢাকা
উত্তর: ইমান শব্দের অর্থ বিশ্বাস স্থাপন, স্বীকৃতি দেওয়া, মেনে নেওয়া ইত্যাদি।
প্রশ্ন: সারা বিশ্বের পালনকর্তা কে?
উত্তর: সারা বিশ্বের পালনকর্তা আল্লাহ তায়ালা। তিনি বিশ্বজগতের অধিপতি বা মালিক। তিনি একক ও অদ্বিতীয় সত্তা।
প্রশ্ন: আমাদের দীনের নাম কী?
উত্তর: আমাদের দীনের নাম ইসলাম। ইসলাম হলো পূর্ণাঙ্গ জীবনব্যবস্থা। মানবজীবনের সব বিষয় ও সমস্যার পরিপূর্ণ সমাধানের দিকনির্দেশনা এতে রয়েছে।
প্রশ্ন: আমরা কী বলে আল্লাহর শোকর আদায় করব?
উত্তর: আমরা ‘আলহামদু লিল্লাহি রাব্বিল আলামিন’ বলে আল্লাহর শোকর আদায় করব।
প্রশ্ন: আখিরাত মানে কী?
উত্তর: আখিরাত আরবি শব্দ। আখিরাত মানে পরকাল। মানুষের মৃত্যুর পরবর্তী জীবনকে আখিরাত বলা হয়।
প্রশ্ন: আকাইদ বলতে কী বোঝ?
উত্তর: ইসলামের মৌলিক বিষয়গুলো অর্থাত্ আল্লাহ তায়ালা, নবি-রাসুল, ফেরেশতা, আসমানি কিতাব, পরকাল, জান্নাত-জাহান্নাম ইত্যাদির প্রতি দৃঢ় বিশ্বাসকেই আকাইদ বলা হয়।
প্রশ্ন: নবি-রাসুলগণের জীবনের অন্যতম লক্ষ্য কী ছিল?
উত্তর: মানুষের জীবন মঙ্গলময় করা ও মানুষের কল্যাণ সাধন করা ছিল নবি-রাসুলগণের জীবনের অন্যতম লক্ষ্য।
প্রশ্ন: শ্বাস নেওয়ার সময় আমরা কোনটি গ্রহণ করি?
উত্তর: শ্বাস নেওয়ার সময় আমরা অক্সিজেন গ্রহণ করি।
প্রশ্ন: কে নবি-রাসুলগণের কাছে ওহি নিয়ে আসতেন?
উত্তর: হযরত জিবরাইল (আ.) নবি-রাসুলগণের কাছে ওহি নিয়ে আসতেন।
প্রশ্ন: ইবাদত কাকে বলে?
উত্তর: ইবাদত আরবি শব্দ। এর অর্থ হলো আনুগত্য, দাসত্ব, বন্দেগি ইত্যাদি। ইসলামি পরিভাষায় দৈনন্দিন জীবনের সব কাজ-কর্মে আল্লাহ তায়ালার বিধি-বিধান মেনে চলাকে ইবাদত বলা হয়।
প্রশ্ন: আল্লাহ আমাদের কেন সৃষ্টি করেছেন?
উত্তর: আমরা আল্লাহর বান্দা। তাঁর ওপর বিশ্বাস স্থাপন করা আমাদের অবশ্যকর্তব্য। আল্লাহ তায়ালা আমাদের সৃষ্টির উদ্দেশ্য সম্পর্কে পবিত্র আল-কুরআনে বলেছেন, ‘জিন ও মানব জাতিকে আমি (আল্লাহ) আমার ইবাদতের জন্যই সৃষ্টি করেছি।’
প্রশ্ন: ইসলামের রুকন কয়টি ও কী কী?
উত্তর: ইসলাম আল্লাহ তায়ালা মনোনীত একমাত্র জীবনব্যবস্থা। ইসলামের রুকন পাঁচটি। যথা: ১. ইমান আনা, ২. সালাত আদায় করা, ৩. যাকাত প্রদান করা, ৪. হজ পালন করা ও ৫. রমজানের সাওম পালন করা।
প্রশ্ন: পাঁচ ওয়াক্ত সালাতের নাম লেখো।
উত্তর: সালাত একটি মৌলিক ও ফরজ ইবাদত। এটি ইসলামের দ্বিতীয় রুকন। দৈনিক পাঁচ ওয়াক্ত সালাত আদায় করা ফরজ। পাঁচ ওয়াক্ত সালাতের নাম হলো ১. ফজর, ২. জোহর, ৩. আসর, ৪. মাগরিব ও ৫. এশা।
প্রশ্ন: সালাতের নিষিদ্ধ সময়গুলো কী কী?
উত্তর: দিনের সব সময় সালাত আদায় করা যায় না। সালাত আদায়ে কতিপয় নিষিদ্ধ সময় রয়েছে। সালাতের নিষিদ্ধ সময় হলো: ১. ঠিক সূর্যোদয়ের সময়, ২. ঠিক দ্বিপ্রহরের সময় ও ৩. সূর্যাস্তের সময়।
প্রশ্ন: মুসাফির কাকে বলে?
উত্তর: মুসাফির আরবি শব্দ। এর অর্থ সফরকারী বা ভ্রমণকারী। কোনো ব্যক্তি তিন দিনের রাস্তা বা কমপক্ষে ৪৮ মাইল দূরে গমনের নিয়ত করে বাড়ি থেকে বের হলে তাকে মুসাফির বলে।
প্রশ্ন: আহকাম কাকে বলে?
উত্তর: সালাতের প্রস্তুতিমূলক কিছু কাজ রয়েছে। সালাতের এসব কাজ বা সালাত শুরু করার আগে যে ফরজ কাজগুলো আছে, সেগুলোকে সালাতের আহকাম বা শর্ত বলে।
প্রশ্ন: আরকান কাকে বলে?
উত্তর: সালাত আদায়কালে আমরা কিছু ফরজ পালন করি। সালাতের ভেতরে যে ফরজ কাজগুলো আছে সেগুলোকে সালাতের আরকান বলে।
প্রশ্ন: সাওম কাকে বলে?
উত্তর: সাওম আরবি শব্দ। এর অর্থ বিরত থাকা বা আত্মসংযম। আল্লাহ তায়ালার সন্তুষ্টি লাভের উদ্দেশ্যে সুবহে সাদিক থেকে শুরু করে সূর্যাস্ত পর্যন্ত পানাহার ইত্যাদি থেকে বিরত থাকাকে সাওম বলে।
প্রশ্ন: সাওমের মাসকে ফজিলতের দিক দিয়ে কয় ভাগে বিভক্ত করা হয়েছে?
উত্তর: সাওমের মাসকে ফজিলতের দিক দিয়ে তিন ভাগে ভাগ করা হয়েছে। ১. এ মাসের প্রথম দশ দিন রহমত লাভের সময়. ২. দ্বিতীয় দশ দিন মাগফিরাত লাভের সময় এবং ৩. শেষ অংশে নাজাত বা মুক্তিলাভের সময়। যারা যথানিয়মে সাওম পালন করবে তারা এ ফজিলত লাভ করবে।
প্রশ্ন: যাকাত কাকে বলে?
উত্তর: যাকাত শব্দের অর্থ পরিচ্ছন্নতা, পবিত্রতা ও শুদ্ধ। মুসলমানদের নিসাব পরিমাণ ধনসম্পদের একটি নির্দিষ্ট অংশ বছরপূর্তিতে আল্লাহ তায়ালার নির্ধারিত খাতসমূহে ব্যয় করাকে যাকাত বলে।
প্রশ্ন: হজ কাকে বলে?
উত্তর: আল্লাহ তায়ালার নৈকট্য ও সন্তুষ্টি লাভের উদ্দেশ্যে নির্দিষ্ট সময়ে বিশেষ অবস্থায়, নির্দিষ্ট স্থানে, নির্ধারিত নিয়মে, নির্দিষ্ট কতগুলো অনুষ্ঠান পালন করাকে হজ বলে।
প্রশ্ন: হজের ফরজ কয়টি ও কী কী?
উত্তর: হজ একটি মৌলিক ফরজ ইবাদত। হজের ফরজ তিনটি। যথা: ১. ইহরাম বাঁধা, ২. আরাফাতে অবস্থান করা এবং ৩. তওয়াফে জিয়ারত।
প্রশ্ন: কুরবানি কাকে বলে?
উত্তর: আল্লাহ তায়ালার সন্তুষ্টি লাভের উদ্দেশ্যে ত্যাগের মনোভাব নিয়ে ১০ থেকে ১২ জিলহজ পর্যন্ত সময়ের মধ্যে গৃহপালিত হালাল পশু আল্লাহর নামে উত্সর্গ করাকে কুরবানি বলে।
প্রশ্ন: আকিকা কাকে বলে?
উত্তর: আকিকা শব্দের অর্থ ভাঙা বা কেটে ফেলা। সন্তান জন্মের সপ্তম দিনে সন্তানের কল্যাণ ও হিফাজতের কামনায় আল্লাহর ওয়াস্তে কুরবানির মতো কোনো গৃহপালিত হালাল পশু জবাই করাকে আকিকা বলে।
প্রশ্ন: যাকাত প্রদানের মূল উদ্দেশ্য কোনটি?
উত্তর: যাকাত প্রদানের মূল উদ্দেশ্য হলো গরিবদের অবস্থার পরিবর্তন করা।
প্রশ্ন: আমরা সৃষ্টির সেবা করব কেন?
উত্তর: মানুষ ব্যতীত আল্লাহ সবই মানুষের উপকার ও কল্যাণের জন্য সৃষ্টি করেছেন। এগুলোর সেবা, বিনা প্রয়োজনে নষ্ট না করা, কেউ ক্ষুধার্ত হলে তাকে খাদ্য দিতে হবে। তাহলে আল্লাহপাক আমাদের প্রতি সন্তুষ্ট হবেন।
প্রশ্ন: মহানবি (সা.) সুন্দর চরিত্র সম্পর্কে কী বলেছেন?
উত্তর: মহানবি (সা) সুন্দর চরিত্র সম্পর্কে বলেছেন, ‘তোমাদের মধ্যে সর্বোত্তম সেই লোক, যার চরিত্র সবচেয়ে সুন্দর।’
প্রশ্ন: ‘সৃষ্টির সেবা’ কাকে বলে?
উত্তর: আল্লাহ তায়ালা সৃষ্টি করেছেন মানুষ, জীবজন্তু, পশুপাখি, চাঁদ-সূর্য, নদীনালা, পাহাড়-পর্বত, গাছপালা ইত্যাদি। মানুষ আল্লাহর এসব সৃষ্টির প্রতি দয়া দেখাবে, সহানুভূতি প্রদর্শন করবে। এরই নাম সৃষ্টির সেবা।
প্রশ্ন: মহানবি (সা.) মক্কাবাসীকে কিসের আহ্বান জানিয়েছিলেন?
উত্তর: মহানবি (সা.) মক্কাবাসীকে সত্য ও ন্যায়পথে চলার আহ্বান জানিয়েছিলেন।
প্রশ্ন: ক্ষমাশীল ব্যক্তি কে?
উত্তর: যার মন উদার, মানুষের জন্য যার দয়ামায়া বেশি, যে রাগ দমন করতে পারে—সেই ব্যক্তি ক্ষমাশীল হয়।
প্রশ্ন: যার মধ্যে সততা আছে তাকে কী বলে?
উত্তর: যার মধ্যে সততা আছে তাকে সত্ ব্যক্তি বলা হয়।
প্রশ্ন: আমরা পিতামাতার সঙ্গে কীরূপ ব্যবহার করব?
উত্তর: আমরা পিতামাতার সঙ্গে সদ্ব্যবহার করব। তাঁদের আদেশ-নিষেধ শুনব এবং মেনে চলব। তাঁদের সম্মান দেখাব। তাঁদের সেবা-যত্ন করব। চিকিত্সার সুব্যবস্থা করব। তাঁরা যাতে সুখে-শান্তিতে জীবন যাপন করতে পারেন, সেদিকে খেয়াল রাখব।
প্রশ্ন: আমরা পিতামাতার জন্য কী বলে দোয়া করব?
উত্তর: আমরা পিতামাতার জন্য দোয়া করব, ‘হে আমার প্রতিপালক! পিতামাতা আমাকে যেমন শৈশবে স্নেহ-যত্নে লালনপালন করেছেন, আপনি তাঁদের প্রতি ঠিক তেমনি দয়া করুন।’
প্রশ্ন: আমরা বাসার কাজের লোকদের সঙ্গে কীরূপ ব্যবহার করব?
উত্তর: আমরা বাসার কাজের লোকদের সঙ্গে ভালো ব্যবহার করব। সম্মান করব। মর্যাদা দেব, নিজেরা যা খাব তাদেরও তা-ই খেতে দেব। তাদের কাজে সাহায্য করব। তাদের কোনো কষ্ট দেব না। তাদের কাজের ও শ্রমের মর্যাদা দেব।
প্রশ্ন: মহানবি (সা.) শ্রমিকদের পারিশ্রমিক সম্পর্কে কী বলেছেন?
উত্তর: মহানবি (সা.) শ্রমিকদের পারিশ্রমিক সম্পর্কে বলেছেন, ‘শ্রমিকের ঘাম শুকানোর আগেই তার পারিশ্রমিক দিয়ে দাও।’
প্রশ্ন: মানবজাতির আদি পিতা ও আদি মাতা কে ছিলেন?
উত্তর: মানবজাতির আদি পিতা হযরত আদম (আ.) এবং আদি মাতা ছিলেন হযরত হাওয়া (আ.)।
প্রশ্ন: প্রাকৃতিক পরিবেশ কাকে বলে?
উত্তর: আমাদের চারপাশে যা কিছু আছে, যেমন: মানুষ, পশুপাখি, গাছপালা, মাটি, পানি, পাহাড়-পর্বত—এ সবকিছুই আমাদের পরিবেশ। এগুলোকে প্রাকৃতিক পরিবেশ বলা হয়।
প্রশ্ন: দেশকে ভালোবাসা বলতে কী বোঝায়?
উত্তর: দেশকে ভালোবাসা অর্থ দেশের মাটি, কৃষ্টি ও সংস্কৃতিকে ভালোবাসা। দেশের মানুষ, দেশের স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্বকে ভালোবাসা।
প্রশ্ন: কোনো অন্যায় কাজ হতে দেখলে কী করা উচিত?
উত্তর: কোনো অন্যায় কাজ হতে দেখলে আমাদের প্রতিবাদ করা উচিত।
প্রশ্ন: মাখরাজ কাকে বলে?
উত্তর: আরবি শব্দ উচ্চারণের সময় মুখের একেক জায়গা থেকে একেকটি হরফ উচ্চারিত হয়। আরবি হরফ উচ্চারণের স্থানকে মাখরাজ বলে।
প্রশ্ন: তাজবিদ কাকে বলে?
উত্তর: কুরআন মজিদ শুদ্ধভাবে তিলাওয়াতের নিয়মকে তাজবিদ বলে। অর্থাত্ কুরআন মজিদের আয়াতসমূহ এবং আয়াতের শব্দ ও বর্ণের সঠিক উচ্চারণ করার পদ্ধতিই হলো তাজবিদ।
প্রশ্ন: ওয়াকফ বলতে কী বোঝ?
উত্তর: কুরআন মজিদ শুদ্ধভাবে তিলাওয়াতের জন্য আয়াতের মধ্যে কয়েক প্রকারের বিরামচিহ্ন ব্যবহার করা হয়েছে। এ চিহ্নগুলোর দ্বারা কোথায় থামতে হবে, কোন জায়গায় কিছুটা শ্বাস নেওয়া যাবে, তা নির্দেশ করা হয়েছে। এ বিরামচিহ্নকে ওয়াকফ বলা হয়।
প্রশ্ন: মাখরাজ কয়টি?
উত্তর: আরবি হরফ উচ্চারণের স্থানকে মাখরাজ বলে। মাখরাজ ১৭টি।
প্রশ্ন: কুরআন মজিদ কার বাণী?
উত্তর: কুরআন মজিদ আল্লাহ তায়ালার বাণী।
প্রশ্ন: কুরআন মজিদ আরবি ভাষায় নাজিল হয়েছে কেন?
উত্তর: মহানবি (সা.)-এর কওমের বা জাতির ভাষা ছিল আরবি। তাই কুরআন মজিদ আরবি ভাষায় নাজিল হয়েছে।
প্রশ্ন: হিলফুল ফুজুলের উদ্দেশ্য কী ছিল?
উত্তর: হিলফুল ফুজুলের উদ্দেশ্য ছিল শান্তি-শৃঙ্খলা প্রতিষ্ঠা করা।
প্রশ্ন: পাদ্রি বহীরা হযরত মুহাম্মদ (সা.) সম্বন্ধে কী মন্তব্য করেছিলেন?
উত্তর: পাদ্রি বহীরা হযরত মুহাম্মদ (সা.)-কে অসাধারণ বালক বলে মন্তব্য করেন এবং শেষ নবি বলে ভবিষ্যদ্বাণী করেন। তিনি আবু তালিবকে মহানবি (সা.) সম্পর্কে সাবধান করেন এবং বলেন, শত্রুরা তাঁর অনিষ্ট করতে পারে।
প্রশ্ন: হযরত মুহাম্মদ (সা.)-এর গঠিত সংঘের নাম কী?
উত্তর: সিরিয়া থেকে ফিরে এসে হযরত মুহাম্মদ (সা.) ফিজার যুদ্ধের বিভীষিকা দেখলেন। তিনি এ যুদ্ধে অংশগ্রহণ করেননি। তবে যুদ্ধের ভয়াবহতা উপলব্ধি করলেন। এতে তাঁর হূদয় কেঁপে উঠল। আহত ব্যক্তিদের আর্তনাদ শুনে তিনি অস্থির হয়ে পড়লেন। শান্তিকামী মানুষ হিসেবে এ অশান্তি তাঁর সহ্য হলো না। তাই তিনি আরবের শান্তিকামী যুবকদের নিয়ে ‘হিলফুল ফুজুল’ (শান্তি সংঘ) গঠন করলেন।
প্রশ্ন: হাজরে আসওয়াদ কোথায় স্থাপন করা হয়েছিল?
উত্তর: হাজরে আসওয়াদ শব্দের অর্থ কালো পাথর। এটি কাবার একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশ। এ কালো পাথরটি (হাজরে আসওয়াদ) কাবার দেয়ালে স্থাপন করা হয়েছিল।
প্রশ্ন: আনসার কারা?
উত্তর: আনসার মানে সাহায্যকারী। হিজরতের সময় মক্কা থেকে যাঁরা মদিনায় গমন করেছিলেন, তাঁদের মদিনায় যাঁরা আশ্রয় ও সাহায্য-সহযোগিতা দিলেন, তাঁদের আনসার বলা হয়।
প্রশ্ন: মুহাজির কাদের বলে?
উত্তর: মুহাজির মানে হিজরতকারী। মক্কা থেকে হিজরত করে যাঁরা মদিনায় যান, তাঁদের বলা হয় মুহাজির।
প্রশ্ন: বদর যুদ্ধের কারণ কী?
উত্তর: মক্কার কাফির মুশরিকরা চেয়েছিল ইসলাম ও মুসলিমদের নিশ্চিহ্ন করে দিতে। মদিনায় ইসলামের উত্তরোত্তর উন্নতি দেখে তারা হিংসায় জ্বলে ওঠে। মদিনায় ইহুদিরা তাদের প্ররোচিত করছিল। আবার আবু সুফিয়ানের বাণিজ্য কাফেলা মুসলমানদের দ্বারা আক্রান্ত হওয়ার গুজব উঠেছিল। মূলত কাফেরদের সঙ্গে এসব কারণে বদর যুদ্ধ হয়েছিল।
প্রশ্ন: হুদাইবিয়ার সন্ধি কী?
উত্তর: হিজরি ৬ সালে (৬২৮ খ্রিষ্টাব্দে) রাসুল (সা.) উমরা পালনের উদ্দেশ্যে ১ হাজার ৪০০ জন সাহাবিসহ মক্কার নয় মাইল দূরে হুদাইবিয়া নামক স্থানে উপনীত হলে কুরাইশরা উমরা পালনে বাধা দেয়। এরপর একপর্যায়ে মক্কার কুরাইশদের সঙ্গে মুসলমানদের ১০ বছর মেয়াদি একটি সন্ধি হয়। এটিই হুদাইবিয়ার সন্ধি নামে খ্যাত।
প্রশ্ন: বিদায় হজ কাকে বলে?
উত্তর: মহানবি (সা.) দশম হিজরিতে হজ পালনের ইচ্ছা প্রকাশ করলেন। এটাই ছিল তাঁর জীবনের শেষ হজ। তিনি এরপর আর হজ করার সুযোগ পাননি। তাই একে বিদায় হজ বলে।
প্রশ্ন: পৃথিবীর আদি মানব কে ছিলেন?
উত্তর: আল্লাহ তায়ালা পৃথিবীতে মানব জাতি প্রেরণের সিদ্ধান্ত গ্রহণ করে প্রথম হযরত আদম (আ.)-কে সৃষ্টি করেন এবং তাঁকে একপর্যায়ে পৃথিবীতে প্রেরণ করেন। এ জন্য হযরত আদম (আ.)-কে পৃথিবীর আদি মানব বলা হয়।
প্রশ্ন: হযরত ইবরাহীম (আ.) কোথায় জন্মগ্রহণ করেন?
উত্তর: নবি হযরত ইবরাহীম (আ.) ইরাক দেশের বাবেল শহরে এক পুরোহিত পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন। হযরত ইবরাহিম (আ.)-কে মুসলিম জাতির পিতা বলে গণ্য করা হয়।
প্রশ্ন: হযরত দাউদ (আ.)-এর ওপর কোন কিতাব নাজিল হয়?
উত্তর: হযরত দাউদ (আ.) ছিলেন একজন বিখ্যাত রাসুল। তাঁর ওপর প্রসিদ্ধ আসমানি কিতাব ‘যাবুর’ নাজিল হয়।
প্রশ্ন: হযরত দাউদ (আ.)-এর বীরত্বের উদাহরণ দাও?
উত্তর: হযরত দাউদ (আ.) ছিলেন অসীম সাহসী এবং অসাধারণ বীরত্বের অধিকারী। তাঁর যুদ্ধ কৌশল ছিল অসাধারণ। তিনি সেনাপতি থাকাকালে আল্লাহদ্রোহী ও অত্যাচারী শাসক জালুতকে যুদ্ধে পরাজিত ও হত্যা করেছিলেন। বাদশাহ তালুত তাঁর বীরত্বে মুগ্ধ হয়ে স্বীয় কন্যাকে তাঁর সঙ্গে বিয়ে দিয়েছিলেন। বাদশাহর মৃত্যুর পর তিনি সিংহাসনে আরোহণ করেন।
শিক্ষক
উইলস লিটল ফ্লাওয়ার স্কুল অ্যান্ড কলেজ, ঢাকা
No comments:
Post a Comment