#নিচের অনুচ্ছেদটি পড়ে ৫, ৬ ও ৭ নম্বর ক্রমিক প্রশ্নের উত্তর দাও।
১৯৯৯ সালে ইউনেসকো ২১ শে ফেব্রুয়ারিকে ‘আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস’ হিসেবে ঘোষণা দেয়। তখন থেকে বিশ্বব্যাপী ২১ শে ফেব্রুয়ারি আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস হিসেবে পালিত হয়। পৃথিবীর সব মানুষের মাতৃভাষার প্রতি সম্মান জানানো হয় এই দিনে। ২১ শে ফেব্রুয়ারিতে পৃথিবীর সব মানুষই স্মরণ করে বাংলাদেশের ভাষা শহিদদের। বাংলাদেশে ২১ শে ফেব্রুয়ারি দিনটি সরকারি ছুটির দিন। শহিদদের স্মরণে এইদিন সরকারি-বেসরকারি ভবনে কালো পতাকা উত্তোলন করা হয়। রাজপথ ও শহিদ মিনারে দৃষ্টিনন্দন আলপনা আঁকা হয়। সবাই বুকে কালো ব্যাজ পরে খালি পায়ে হেঁটে শহিদ মিনারে গভীর শ্রদ্ধার সঙ্গে ফুল দিয়ে থাকেন। ভাষাশহিদদের স্মরণে গাওয়া হয় এই অমর সংগীত—
‘আমার ভাইয়ের রক্তে রাঙানো একুশে ফেব্রুয়ারি
আমি কি ভুলিতে পারি।’
৫। সঠিক উত্তরটি উত্তরপত্রে লেখো।
(১) অনুচ্ছেদটিতে কোন বিষয় সম্পর্কে বলা হয়েছে?
(ক) স্বাধীনতা দিবস (খ) আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস
(গ) বিজয় দিবস (ঘ) শহিদ বুদ্ধিজীবী দিবস
(২) ২১ শে ফেব্রুয়ারিতে কালো পতাকা উত্তোলন করা হয়—
(ক) ভাষাশহিদদের স্মরণে (খ) শহিদ মুক্তিযোদ্ধাদের স্মরণে
(গ) শহিদ বুদ্ধিজীবীদের স্মরণে (ঘ) দুর্ঘটনায় নিহতদের স্মরণে
(৩) শহিদ মিনারে পুষ্পস্তবক অর্পণের সময় সবাই বুকে কোন রঙের ব্যাজ পরিধান করে?
ক. লাল খ. সাদা গ. কালো ঘ. হলুদ
(৪) ‘আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস’-এ শহিদদের প্রতি সম্মান জানায়—
(ক) ছাত্রছাত্রীরা (খ) বাংলাদেশিরা (গ) এশিয়াবাসী (ঘ) পৃথিবীর সব মানুষ
(৫) নিচের কোনটি সঠিক বানান?
ক. পূষ্পস্তবক খ. পূস্পস্তবক গ. পুষ্পস্তবক ঘ. পুস্পস্তবক
৫ নম্বর প্রশ্নের উত্তর:
(১) খ. আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস (২) ক. ভাষাশহিদদের স্মরণে (৩) গ. কালো (৪) ঘ. পৃথিবীর সব মানুষ (৫) গ. পুষ্পস্তবক।
৬। নিচে কয়েকটি শব্দ ও শব্দার্থ দেওয়া হলো। নিচের বাক্যগুলোর শূন্যস্থানের উপযুক্ত শব্দটি উত্তরপত্রে লেখো।
শব্দ
|
শব্দার্থ
|
শব্দ
|
শব্দার্থ
|
দিবস
|
দিন
|
অর্পণ
|
দেওয়া
|
বিশ্বব্যাপী
|
পৃথিবীজুড়ে
|
উত্তোলন
|
ওঠানো
|
স্মরণ
|
মনে করা
|
অমর
|
মৃত্যুহীন
|
(ক) আমরা শহিদদের শ্রদ্ধার সঙ্গে— করি। (খ) শহিদ দিবসে কালো পতাকা— করা হয়। (গ) ১৬ই ডিসেম্বর বাংলাদেশের বিজয়— । (ঘ) আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস— পালিত হয়। (ঙ) শহিদ মিনারে সবাই পুষ্পস্তবক— করে।
৬ নম্বর প্রশ্নের উত্তর:
(ক) স্মরণ (খ) উত্তোলন (গ) দিবস (ঘ) বিশ্বব্যাপী (ঙ) অর্পণ।
৭। নিচের প্রশ্নগুলোর উত্তর লেখো।
(ক) বাংলাদেশে ২১ শে ফেব্রুয়ারি কীভাবে উদ্যাপন করা হয়?
(খ) ভাষাশহিদদের স্মরণে গাওয়া গানটিকে অমর বলা হয়েছে কেন?
(গ) ২১ শে ফেব্রুয়ারির দিনটি বিশ্বব্যাপী পালিত হওয়ার কারণ কী?
৭ নম্বর প্রশ্নের উত্তর:
(ক)
বাংলাদেশে ২১ শে ফেব্রুয়ারি সরকারি ছুটির দিন। এ দিন সরকারি-বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে কালো পতাকা উত্তোলন করা হয়। ভাষাশহিদদের স্মরণে এ দেশের মানুষ শহিদ মিনারে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা ও ভালোবাসা জানিয়ে থাকে। শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ও সামাজিক-সাংস্কৃতিক প্রতিষ্ঠানে ভাষা শহিদদের নিয়ে আয়োজন করা হয় সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান, বইমেলা ও আলোচনা সভা। বাংলাদেশে ২১ শে ফেব্রুয়ারি দিনটি অত্যন্ত ভাষাগাম্ভীর্য ও শ্রদ্ধাবনত চিত্তে পালন করা হয়।
(খ)
‘আমার ভাইয়ের রক্তে রাঙানো একুশে ফেব্রুয়ারি’—এই গানটি ভাষাশহিদদের স্মরণে প্রতি বছর ২১শে ফেব্রুয়ারিতে গাওয়া হয়। শহিদদের স্মরণ করে যুগ যুগ ধরে এ গানটি গাওয়া হবে। শহিদদের অবদান যেমন ভোলার নয়, ঠিক তেমনি এই গানও বাংলাদেশের মানুষ কখনো ভুলবে না। এই গান ২১শে ফেব্রুয়ারির প্রভাত ফেরির গান। তাই এ গানকে অমর বলা হয়েছে।
(গ)
২১ শে ফেব্রুয়ারি ‘আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস’। ১৯৫২ সালের পর থেকে ২১শে ফেব্রুয়ারি বাংলাদেশে শহিদ দিবস হিসেবে পালন করা হতো। জাতিসংঘের ইউনেসকো ১৯৯৯ সালে এ দিবসটি আন্তর্জাতিকভাবে পালন করার স্বীকৃতি দেয়। পৃথিবীর সব মানুষ তার নিজ নিজ মাতৃভাষার প্রতি এ দিনে সম্মান জানিয়ে থাকে। মাতৃভাষাকে সম্মান জানাতেই ২১ শে ফেব্রুয়ারির এই দিনটি বিশ্বব্যাপী পালিত হয়।
সিনিয়র শিক্ষক, আন-নাফ গ্রিন মডেল স্কুল, ঢাকা
No comments:
Post a Comment