পাঠ্যবইয়ের গদ্যাংশ/কবিতাংশ: শখের মৃশিল্প
প্রিয় পরীক্ষার্থী, প্রশ্নকাঠামো অনুসারে বাংলা বিষয়ের প্রশ্নপত্রে ১, ২, ৩ ও ৪ নম্বর প্রশ্ন থাকবে পাঠ্যবইয়ের গদ্যাংশ অথবা কবিতাংশ-সম্পৃক্ত প্রশ্নোত্তর। আজ দেওয়া হলো গদ্যাংশ-সম্পৃক্ত প্রশ্নোত্তর।
প্রিয় পরীক্ষার্থী, প্রশ্নকাঠামো অনুসারে বাংলা বিষয়ের প্রশ্নপত্রে ১, ২, ৩ ও ৪ নম্বর প্রশ্ন থাকবে পাঠ্যবইয়ের গদ্যাংশ অথবা কবিতাংশ-সম্পৃক্ত প্রশ্নোত্তর। আজ দেওয়া হলো গদ্যাংশ-সম্পৃক্ত প্রশ্নোত্তর।
মাটির
তৈরি
শিল্পকর্মকে
আমরা
বলি
মাটির
শিল্প
বা
মৃশিল্প। এই শিল্পের প্রধান উপকরণ হলো মাটি।
তবে
সব
মাটি
দিয়ে
এ
কাজ
হয়
না। দরকার পরিষ্কার এঁটেল মাটি।
এ
ধরনের
মাটি
বেশ
আঠালো। দো-আঁশ মাটি তেমন আঠালো নয়, আর বেলে মাটি তো ঝরঝরে, তাই এগুলো দিয়ে মাটির শিল্প হয় না।
এঁটেল
মাটি
হলেই
যে
তা
দিয়ে
শিল্পের
কাজ
করা
যাবে,
তা-ও
নয়। এর জন্য অনেক যত্ন আর শ্রম দরকার।
দরকার
হাতের
নৈপুণ্য
ও
কারিগরি
জ্ঞান। কুমারদের কাছে এসব খুব সহজ।
কারণ,
তাঁরা
বংশপরম্পরায়
এ
কাজ
করে
আসছেন। আবার এ কাজের জন্য প্রয়োজন কিছু ছোটখাটো যন্ত্রপাতি ও সরঞ্জাম।
সবকিছুর
আগে
যেটা
দরকার,
তা
হলো
একটি
কাঠের
চাকা। এই চাকায় নরম মাটির তাল লাগিয়ে লাগিয়ে নানা আকারের মাটির পাত্র ও নানা জিনিস তৈরি করেন কুমারেরা।
আমাদের
দেশে
একসময়
গড়ে
উঠেছিল
সুন্দর
পোড়ামাটির
ফলকের
কাজ। এর অন্য নাম টেরাকোটা।
বাংলার
অনেক
পুরোনো
শিল্প
এই
টেরাকোটা। নকশা করা মাটির ফলক ইটের মতো পুড়িয়ে তৈরি করা হতো এই টেরাকোটা।
শালবন
বিহার,
মহাস্থানগড়,
পাহাড়পুর
বৌদ্ধ
স্তূপ
ও
দিনাজপুরের
কান্তজির
মন্দিরে
এই
টেরাকোটার
কাজ
রয়েছে। তা ছাড়া বাগেরহাটের ষাটগম্বুজ মসজিদে পাওয়া গেছে পোড়ামাটির অপূর্ব সুন্দর কাজ।
এগুলো
আমাদের
ঐতিহ্য,
আমাদের
গর্ব। এ দেশের মানুষের মন যে শিল্পীর মন, এগুলো তার পরিচয় বহন করে।
প্রাচীনকাল
থেকে
বাংলাদেশে
মৃিশল্পের
কাজ
হয়ে
আসছে। প্রাচীন মৃিশল্পের মধ্যে অন্যতম হলো টেরাকোটা।
টেরাকোটা
একটি
ল্যাটিন
শব্দ। ‘টেরা’ অর্থ মাটি আর ‘কোটা’ অর্থ পোড়ানো।
পোড়ামাটির
তৈরি
মানুষের
ব্যবহারের
সব
রকমের
জিনিস
টেরাকোটা
হিসেবে
পরিচিত। নকশা করা মাটির ফলক বা জিনিস ইটের মতো পুড়িয়ে তৈরি করা হতো টেরাকোটা।
(খ)
মাটির
তৈরি
শিল্পকর্মকে
বলা
হয়
মৃিশল্প। এই শিল্পের প্রধান উপাদান হলো মাটি।
তবে
সব
মাটি
দিয়ে
এ
কাজ
হয়
না। দোঁ-আশ মাটি তেমন আঠালো নয়, আর বেলে মাটি ঝরঝরে।
তাই
এগুলো
দিয়ে
মাটির
শিল্প
বা
মৃিশল্প
হয়
না। মৃিশল্পের জন্য দরকার পরিষ্কার এঁটেল মাটি।
এ
ধরনের
মাটি
বেশ
আঠালো। আবার এঁটেল মাটি হলেই যে তা দিয়ে শিল্পের কাজ করা যাবে, তা-ও নয়।
এর
জন্য
দরকার
অনেক
যত্ন
আর
শ্রম। দরকার হাতের নৈপুণ্য ও কারিগরি জ্ঞান।
প্রয়োজন
কিছু
ছোটখাটো
যন্ত্রপাতি
ও
সরঞ্জাম। মৃিশল্পের প্রধান উপাদান মাটি হলেও
এর সঙ্গে দরকার একটি
কাঠের চাকা। এই চাকায় নরম মাটির তাল লাগিয়ে লাগিয়ে নানা
আকারের মাটির পাত্র ও
নানা জিনিস তৈরি করেন
কুমারেরা।
(গ)
বাংলাদেশের প্রাচীন শিল্পকলার পরিচয় পাওয়া যায়
মাটির শিল্পে। এটা
এ দেশের নিজস্ব শিল্প। হাজার হাজার বছর
ধরে এ
দেশে মাটির শিল্পের চর্চা হয়ে আসছে। এ দেশের মানুষের মন
যে শিল্পীর মন, এই
মাটির শিল্প তারই পরিচয় বহন করে। ময়নামতির শালবন বিহার, বগুড়ার মহাস্থানগড়, বাগেরহাটের ষাটগম্বুজ মসজিদে দেখা
যায় পোড়ামাটির ফলকের নিদর্শন। তাই
মাটির শিল্প আমাদের ঐতিহ্য ও গৌরবের বিষয়।
৪। প্রদত্ত অনুচ্ছেদটির মূলভাব লেখো।৪ নম্বর প্রশ্নের উত্তর
মৃিশল্প বাংলাদেশের একটি
ঐতিহ্যবাহী শিল্পকর্ম। এই
শিল্পের প্রধান উপকরণ পরিষ্কার এঁটেল মাটি। গ্রামের কুমারেরা নিপুণভাবে এসব
তৈরি করেন। প্রাচীনকাল থেকে
এ দেশে
মৃিশল্পের চর্চা হয়ে আসছে। শালবন বিহার, মহাস্থানগড়,
পাহাড়পুর বৌদ্ধ স্তূপ, দিনাজপুরের কান্তজির মন্দির, বাগেরহাটের ষাটগম্বুজ মসজিদে পোড়ামাটির ফলক
বা টেরাকোটার নিদর্শন পাওয়া যায়। মাটির শিল্প তাই
আমাদের ঐতিহ্য ও গর্বের বিষয়।
শিক্ষক, উইলস
লিটল ফ্লাওয়ার স্কুল অ্যান্ড কলেজ, ঢাকা
No comments:
Post a Comment